পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ৪ মে, ২০১৬

তার জীবনটাই এখন ভগ্নাংশ, তাকে একটু বাঁচতে দিন!



প্রথমে আইসিটি আইনে মামলা গ্রেপ্তার দেখানো হলেও পরবর্তীতে আরো অনেক মামলায় জড়িয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় জর্জরিত এই মানুষটির জন্য খেদ প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তার জীবনকে একটা ‘ভগ্নাংশ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
জয় অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই খেদোক্তি করেন মাসুদ আহমেদ।
বুধবার এ মামলায় নতুন করে চাওয়া সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল রিমান্ড আবেদনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, জয়কে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার সাথে এদেশে আর কে কে জড়িত আছে এবং কারা তাতে অর্থায়ন করেছে সে বিষয়ে আসামি পরিপূর্ণ তথ্য দেননি। পুরো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য তাকে আরো সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা আবশ্যক। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের ওই আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশে রিমান্ড আবেদন পড়ে শোনান।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের ওই আইনজীবীর বক্তব্য খণ্ডন করে আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারও রিমান্ড ফরোয়ার্ডিং পড়ে বিচারকের উদ্দেশে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অসত্য তথ্য দিয়েছেন। বিগত পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকার সময় আসামির কাছ থেকে যতটা তথ্য উপাত্ত পুলিশের পক্ষে পাওয়া সম্ভব তার সবই আসামি দিয়েছেন এবং পুলিশও পেয়েছেন। নতুন করে আর পাওয়ার কিছু নেই।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, তিনি যা দিয়েছেন তা ভগ্নাংশ।
এই উক্তির সূত্র ধরেই অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, মাহমুদুর রহমানের জীবনটাই তো একটা ভগ্নাংশ! এবার তাকে একটু বাঁচতে দিন।
এ বক্তব্যের মধ্য দিয়েই উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হলে বিচারক ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার হুই মাহমুদুর রহমানকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে একই মামলায় আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি এএসপি হাসান আরাফাত পুনরায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
মাহমুদুর রহমানের পক্ষে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর গত ২৫ এপ্রিল ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় এই মামলা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন