পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৬

পেকুয়ায় শিশু অপহরণের ভয়ে চিন্তিত অভিবাক সমাজ।

পেকুয়ায় হঠাত করে শিশু অপহরণকারীদের চলাফেরা বেড়ে যাওয়ায় মারাত্মকভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে অভিবাকরা এমনটিই জানিয়াছেন স্থানিয়রা। 


প্রতিদিন ছেলে-মেয়েদের স্কুল কিংবা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে পাঠানোর সময় বাবা মা সহ পুরু অভিবাক সমাজ এখন একধরণের আতঙ্কিত অবস্থায় থাকেন। ছেলে মেয়েরা ঘরে ফিরে আসবে নাকি অন্য ছেলেদের মত অপহরণকারীদের কবলে পড়ছেন। সম্প্রতি পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের সোনাইচড়ী, বনকান এবং শিলখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এরকম ঘটনা সংঘঠিত হওয়ায় পুরো উপজেলার মানুষ খুবিই চিন্তিত বলে জানান অভিবাক মহল। স্থানিয়রা জানান, পোয়া ধরণীরা (অপহরণকারী) খাবারের সাথে চেতনাসক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে এবং বিভিন্ন রকমের প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজি ও অন্যান্য গাড়িতে করে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এসব শিশুদের। এপর্যন্ত দু'তিন দল অপহরণকারী চক্রকে গণপিঠোনীও দিয়েছে বলে জানান তারা।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

পেকুয়ায় লবন চাষির কাছে থেকে চাঁদা দাবি, ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা


পেকুয়ায় এক লবন চাষির কাছ থেকে চাঁদাদাবি করছে দুর্বৃত্তরা। খরিদ সম্পত্তির মালিকের কাছ থেকে চাঁদাদাবি করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই লবন চাষি। এদিকে ১একর ২৮শতক জমি নিয়ে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে। চলতি লবন মৌসুমে জমির দখল আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিরোধকে কেন্দ্রকরে দু’পক্ষ বহিরাগত লোকজন জড়ো করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকায়।

দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা গেছে মগনামা মৌজার বিএস ৭২৬ খতিয়ানের আন্দরে ১একর ২৮শতক জমির খরিদসুত্রে মালিক মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা এলাকার ছব্বির আহমদের দু’ছেলে হাজ্বি নজরুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম। বিগত ২০১২সালে ওই জমি একই ইউনিয়নের বহদ্দার পাড়া এলাকার মো.আলমের কাছ থেকে খরিদ করেন। ওই সময় থেকে লবন ও মৎস্য চাষ চালিয়ে আসছেন তারা।
সম্প্রতি লবন মৌসুম শুরু হলে একটি চক্র নানা ভাবে হয়রানিসহ মোটা অংকের চাঁদাদাবি করে। জানা গেছে ওই চক্র গত কয়েকদিন আগে নজরুলের চাষাদের দু’লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় জমি থেকে বিতাড়িত করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
এদিকে নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২২ডিসেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সিআ্র মামলা দায়ের করেন। যার নং-১২১৪/১৫। ওই মামলায় মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকার মৃত.জাবের আহমদের ছেলে জহিরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, বদিউল আলমের ছেলে মোকতার আহমদ, জাকের আহমদ ও গিয়াস উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৩-৪জনকে অজ্ঞাত আসামি করে।
জানা গেছে আদালত ওই মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করতে নির্দেশ দেন। নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন ওই চাঁদাবাজ চক্ররা আমাকে পথে ঘাটে চাঁদার দাবিতে হয়রানি করছে। গত দু’দিন আগে পেকুয়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে তারা আমার কাছ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাদাবি করছে।
জহিরুল ইসলামের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন ওই সম্পত্তি মগনামা জমিদার বাড়ির তোফাইল চৌং গংদের। প্রায় ২০-৩০বছর ধরে আমার ভাই চাষা হিসেবে ওই জমি দেখাশুনা করছে। এগুলো মিথ্যা। মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তারা।




রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫

পেকুয়ার গ্রামীন সড়কগুলো ইয়াবা পাচারে নিরাপদ


কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীন সড়কগুলো দিয়ে নিরাপদে ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে বলে গোপন সূত্রের খবর। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চকরিয়া বরইতলি রাস্তা মাথা হয়ে পেকুয়া পর্যন্ত পৌছে দেয়। পরে পেকুয়ার ব্যবসায়ীরা গ্রামীন সড়কগুলো ব্যবহার করে নিরাপদে চট্রগামের ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দেয়। এমনকি পেকুয়াও খুচরা হিসাবে তারা বিক্রি করে থাকে। এ কারণে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা বিপদগামী হচ্ছে আর অভিবাভকরা রয়েছে আতংকে।
ূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত ইয়াবা চকরিয়া বরইতলি হয়ে পেকুয়া, মিয়ানমার থেকে সাগর পদে কুতুবদিয়া চ্যালেন হয়ে পেকুয়ায় নিয়ে আসে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। পরে বিভিন্ন এলাকায় পাচারের পাশাপাশি খোলামেলা বাজারজাত করছে তারা। যার কারণে নাগালে পাওয়ার সুবাদে ইয়াবা আসক্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেকপাড়া, সিকদার পাড়া, মাতবর পাড়া, মৌলভী পাড়া, রাজাখালী পালাকাটা, সুন্দরী পাড়া, টইটং ও মগনামা ইউনিয়নের কাজি মার্কেট ও লঞ্চঘাট এলাকার ৪/৫জন ব্যক্তিসহ অন্তত ৩০ ব্যেক্তি মরণব্যধি মাদক ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।
একটি সিন্ডিকেট হাতবদলের মাধ্যমে বরইতলি হয়ে পেকুয়ার সীমান্ত পহরচাঁদা মাদ্রাসা, বহদ্দকাটা হয়ে পেকুয়ার সীমান্তব্রীজ বাঘগুজরা পর্যন্ত পৌছে দেয়। এরপর পেকুয়ার ব্যবসায়ীরা প্রত্যন্ত এলাকায় খোলামেলা বিক্রি করার পর এবিসি সড়ক হয়ে চট্রগ্রাম, রাজাখালী আরবশাহ বাজার সড়ক হয়ে বাঁশখালীর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দেয়।
এমতাবস্থায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আন্তরিক না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন ও সামাজিক জীবন ব্যবস্থার বেহাল পরিণতি হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া জানান, আমি যোগদান করার পর থেকে মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছি। তারপরও কেউ যদি এ অসাধু ব্যবসায় জড়িত থাকে তারাও পার পাবেনা।