পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

পেকুয়ায় লবন চাষির কাছে থেকে চাঁদা দাবি, ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা


পেকুয়ায় এক লবন চাষির কাছ থেকে চাঁদাদাবি করছে দুর্বৃত্তরা। খরিদ সম্পত্তির মালিকের কাছ থেকে চাঁদাদাবি করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই লবন চাষি। এদিকে ১একর ২৮শতক জমি নিয়ে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে। চলতি লবন মৌসুমে জমির দখল আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিরোধকে কেন্দ্রকরে দু’পক্ষ বহিরাগত লোকজন জড়ো করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকায়।

দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা গেছে মগনামা মৌজার বিএস ৭২৬ খতিয়ানের আন্দরে ১একর ২৮শতক জমির খরিদসুত্রে মালিক মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা এলাকার ছব্বির আহমদের দু’ছেলে হাজ্বি নজরুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম। বিগত ২০১২সালে ওই জমি একই ইউনিয়নের বহদ্দার পাড়া এলাকার মো.আলমের কাছ থেকে খরিদ করেন। ওই সময় থেকে লবন ও মৎস্য চাষ চালিয়ে আসছেন তারা।
সম্প্রতি লবন মৌসুম শুরু হলে একটি চক্র নানা ভাবে হয়রানিসহ মোটা অংকের চাঁদাদাবি করে। জানা গেছে ওই চক্র গত কয়েকদিন আগে নজরুলের চাষাদের দু’লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় জমি থেকে বিতাড়িত করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
এদিকে নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২২ডিসেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সিআ্র মামলা দায়ের করেন। যার নং-১২১৪/১৫। ওই মামলায় মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকার মৃত.জাবের আহমদের ছেলে জহিরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, বদিউল আলমের ছেলে মোকতার আহমদ, জাকের আহমদ ও গিয়াস উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৩-৪জনকে অজ্ঞাত আসামি করে।
জানা গেছে আদালত ওই মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করতে নির্দেশ দেন। নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন ওই চাঁদাবাজ চক্ররা আমাকে পথে ঘাটে চাঁদার দাবিতে হয়রানি করছে। গত দু’দিন আগে পেকুয়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে তারা আমার কাছ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাদাবি করছে।
জহিরুল ইসলামের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন ওই সম্পত্তি মগনামা জমিদার বাড়ির তোফাইল চৌং গংদের। প্রায় ২০-৩০বছর ধরে আমার ভাই চাষা হিসেবে ওই জমি দেখাশুনা করছে। এগুলো মিথ্যা। মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তারা।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন