পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

চিটাগংকে বিদায় করে উজ্জ্বল ঢাকা


ঢাকা: ধারাবাহিক পরাজয়ে বিদায় প্রায় নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই। তবে কাগজে-কলমে ছিল কিছু সম্ভাবনা। শেষ পর্যন্ত তাও শেষ হয়ে গেল মঙ্গলবার। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ৪৫ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে প্রথম দল হিসাবে বিদায় নিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। 
অথচ তারকা খেলোয়াড়ের অভাব ছিল এই দলে। অধিনায়ক তামিম থেকে শুরু করে এনামুল হক বিজয়, তিলকরত্নে দিলশান, মোহাম্মদ আমিররা ছিলেন দলে। কিন্তু নয় ম্যাচে জয় মাত্র দুটি, পয়েন্ট চার। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিতে হলো তামিম শিবিরকে। অন্যদিকে চিটাগংয়ের বিরুদ্ধে দারুণ এই জয়ে শেষ চারে খেলার সম্ভাবনা আরও জোড়ালো করল ঢাকা ডায়নামাইটস। আট ম্যাচে চার জয়ে আট পয়েন্ট তাদের। তালিকায় চতুর্থ অবস্থান সাঙ্গাকারা-মুস্তাফিজদের।
দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ছে ঢাকা শিবির
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২১ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডায়নামাইটস। লক্ষ্যটা ছোট হলেও পারেনি চিটগাং। শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা চিটাগং ১৬.৫ ওভারে অলআউট মাত্র ৭৬ রানে। ইনজুরির কারণে চিটাগংয়ের হয়ে ব্যাট করতে পারেননি জিয়াউর রহমান। 
ব্যাট করতে নেমে ৬১ রানের মধ্যেই চিটাগং হারায় আটটি উইকেট। মূলত তখনই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। নির্ধারিত হয় জয়-পরাজয়ের গতিবিধি। টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানই আউট হয় দশ রানের নিচে। একে একে সাজঘরে ফিরেছেন দিলশান (৪), তামিম (৮), ইয়াসির আলী (২), এনামুল হক (৯)।
দারুণ জয়ে উচ্ছ্বসিত ঢাকা ডায়নামাইটসের ভক্ত-অনুরাগীরা
পঞ্চম উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের উমর আকমল ধরে খেলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। ২২ বলে ১৪ রান করে মোশাররফ হোসেনের শিকার হন তিনি। পরে বিদায় নেন ইলিয়াস সানিও। ১২ বলে ১০ রান করা সানিও আউট হন মোশাররফের বলে।
একটু পর আবারো মোশাররফের জোড়া আঘাত। বিদায় করেন চিটাগংয়ের দুই পেসার মোহাম্মদ আমির ও শফিউল ইসলামকে। দুজনেরই সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। শেষের দিকে বিলওয়াল ভাট্টি ১১ রান করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। বিলওয়ালকে আউট করেই জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতেন ঢাকার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, সঙ্গে গোটা ঢাকা শিবির। চার রানে আসিফ হাসান থাকেন অপরাজিত।
ঢাকার হয়ে বল হাতে এদিন আলো ছড়িয়েছেন মোশাররফ হোসেন। চার ওভার বল করে রান দিয়েছেন ১৬। তবে উইকেট নিয়েছেন চারটি। খুব একটা পিছিয়ে ছিলেন না কাটার মাস্টার মুস্তাফিজও। ২.৫ ওভারে সাত রান দিয়ে তিনি নেন দুটি উইকেট। আবুল হাসান ও ইয়াসির আলী নেন একটি করে উইকেট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন