পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫

পেকুয়ার গ্রামীন সড়কগুলো ইয়াবা পাচারে নিরাপদ


কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীন সড়কগুলো দিয়ে নিরাপদে ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে বলে গোপন সূত্রের খবর। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চকরিয়া বরইতলি রাস্তা মাথা হয়ে পেকুয়া পর্যন্ত পৌছে দেয়। পরে পেকুয়ার ব্যবসায়ীরা গ্রামীন সড়কগুলো ব্যবহার করে নিরাপদে চট্রগামের ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দেয়। এমনকি পেকুয়াও খুচরা হিসাবে তারা বিক্রি করে থাকে। এ কারণে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা বিপদগামী হচ্ছে আর অভিবাভকরা রয়েছে আতংকে।
ূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত ইয়াবা চকরিয়া বরইতলি হয়ে পেকুয়া, মিয়ানমার থেকে সাগর পদে কুতুবদিয়া চ্যালেন হয়ে পেকুয়ায় নিয়ে আসে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। পরে বিভিন্ন এলাকায় পাচারের পাশাপাশি খোলামেলা বাজারজাত করছে তারা। যার কারণে নাগালে পাওয়ার সুবাদে ইয়াবা আসক্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেকপাড়া, সিকদার পাড়া, মাতবর পাড়া, মৌলভী পাড়া, রাজাখালী পালাকাটা, সুন্দরী পাড়া, টইটং ও মগনামা ইউনিয়নের কাজি মার্কেট ও লঞ্চঘাট এলাকার ৪/৫জন ব্যক্তিসহ অন্তত ৩০ ব্যেক্তি মরণব্যধি মাদক ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।
একটি সিন্ডিকেট হাতবদলের মাধ্যমে বরইতলি হয়ে পেকুয়ার সীমান্ত পহরচাঁদা মাদ্রাসা, বহদ্দকাটা হয়ে পেকুয়ার সীমান্তব্রীজ বাঘগুজরা পর্যন্ত পৌছে দেয়। এরপর পেকুয়ার ব্যবসায়ীরা প্রত্যন্ত এলাকায় খোলামেলা বিক্রি করার পর এবিসি সড়ক হয়ে চট্রগ্রাম, রাজাখালী আরবশাহ বাজার সড়ক হয়ে বাঁশখালীর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দেয়।
এমতাবস্থায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আন্তরিক না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন ও সামাজিক জীবন ব্যবস্থার বেহাল পরিণতি হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া জানান, আমি যোগদান করার পর থেকে মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছি। তারপরও কেউ যদি এ অসাধু ব্যবসায় জড়িত থাকে তারাও পার পাবেনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন